শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৩৩ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহীর পদ্মা নদীতে বিষ টোপ দিয়ে নির্বিচারে পাখি হত্যা চলছে। বুধবার বনবিভাগের কর্মকর্তারা জবাই করা অবস্থায় এক শিকারির বাড়ি থেকে নয়টি চখাচখি পাখি, পাখি ধরার জাল ও অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করেছেন। পাখিপ্রেমীদের দাবি, বুধবারই শতাধিক পাখি মারা পড়েছে।
বনবিভাগের বন্যপ্রাণী পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির জানান, বুধবার তারা খবর পান যে, বিষ টোপ দিয়ে একজন শিকারি পাখি হত্যা করে নগরীর শ্রীরামপুর এলাকায় নিজ বাড়িতে ঢুকেছেন। খবর পেয়ে তিনি পুলিশ নিয়ে বিকাল ৩টার দিকে ওই পাখি শিকারির বাড়ি যান। তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে ওই শিকারি পাখি রেখে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। পরে পাখিগুলো জব্দ করা হয়।
পাখি হত্যার খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহীর পদ্মা নদীর বিভিন্ন চরে পরিদর্শন করে একজন পাখিপ্রেমী নামপ্রকাশ না করার শর্তে জানান, শিকারিরা মারার পরে শুধু চখাচখি পাখি তুলে নিয়ে গেছে; কিন্তু আরও অনেক প্রজাতির ছোট পাখির মরদেহ পদ্মা নদীতে পড়ে আছে।
তাদের হিসাব মতে, গত বুধবার অন্তত শতাধিক পাখি বিষ টোপ খেয়ে মারা গেছে।
তিনি বলেন, মাত্র পাঁচ থেকে ছয়জন শিকারি প্রতি বছর এ সময়ে পদ্মা নদীতে এভাবে পাখি শিকার করে থাকেন। স্থানীয় লোকজন তাদের চেনেন। প্রশাসন চাইলে তাদের আটক করতে পারে। নৌ পুলিশের সদস্যরা পদ্মা নদীতে কাজ করেন। এই পাখি হত্যার বিষয়টি তাদের নজরদারিতেও থাকার কথা; কিন্তু এ বিষয়ে তাদের কোনো কার্যক্রম দেখা যায় না।
জানতে চাইলে নৌ পুলিশের রাজশাহী অঞ্চলের পরিদর্শক উজ্জ্বল হোসেন বলেন, আমরা এখনো এ রকম কোনো খবর পাইনি। আমাদের যদি কেউ ইনফরমেশন দেয়, আমরা অবশ্যই অভিযান চালাব। পাখি হত্যা দেখলে তো অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাখি শিকার বন্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান বনবিভাগের বন্যপ্রাণী পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবিরও। তিনি বলেন, তাদের লোকজন মাঠে কাজ করছেন। শিকারি পদ্মা নদীতে নামলেই তাদের আটক করা হবে। ধরার সঙ্গে সঙ্গে ভ্রাম্যমাণ আদালত করে তারা শিকারি শাস্তি প্রদান নিশ্চিত করবেন। এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে তারা কথা বলে রেখেছেন।
Copyright @ 2024 Jonotarsomoy24.com । জনতার সময়২৪. All rights reserved
Leave a Reply